জারা ঘাসের সার ব্যবস্থাপনা
জারা ঘাসের সার ব্যবস্থাপনা:
আসুন জেনে নিই, ভাল ফলন পেতে ঘাসের সার ব্যবস্থাপনা:
যেকোনো কৃষিকাজে জৈব সারের বিকল্প নেই।
প্রতি ৬ মাস অথবা ১ বছর পর পর জমিতে শুকনো গোবর সার অথবা ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) প্রয়োগ করতে হবে। (কাঁচা গোবর দেওয়া যাবে না।)
আশানুরূপ ফলন পেতে হলে, নিম্নে বর্ণিত তালিকা অনুযায়ী সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
অতিরিক্ত রোদ্রের সময় অর্থাৎ, গ্রীষ্মকালে প্রতি ১০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। বৃষ্টি হলে সেচ এর পরিমাণ কমানো যেতে পারে। এবং প্রতিবার সেচ দেওয়ার পূর্বে নিম্নে বর্ণিত রাসায়নিক সার গুলো সম পরিমাণে একসাথে মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
প্রতি ১০ শতাংশ জমির জন্য রাসায়নিক সারের তালিকা:
১. ইউরিয়া= ৫ কেজি
২. ডি, এ, পি,/ টি, এস, পি, (ফসফেট)= ৫ কেজি
৩. এম, ও, পি, (পটাশ)= ৩ কেজি
৪. সালফার= ২ কেজি
এর পাশাপাশি সরিষার খৈল গুড়া করে স্যারের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
বিঃদ্রঃ সার কখনো ঘাসের গোড়ায় দেওয়া যাবে না, গোড়া থেকে একটু দূরে চারিদিকে বৃত্তাকার করে ছিটিয়ে দিতে হবে। অথবা, সারা জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। সকালে সার দেওয়া যাবে না। সকালে ঘাসের পাতায় শিশির জমে থাকে। সেচ বা পানি দেওয়ার আগের দিন দুপুরে অথবা বিকালে সার ছিটাতে হবে।
(জমি অবশ্যই আগাছা মুক্ত রাখতে হবে)
এবং প্রতিবার ঘাস কাটার পর মোথায় ছাই ছিটিয়ে দিলে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত থাকবে। (ইনশাআল্লাহ)
সার দেওয়ার জন্য ঘাসের জমিকে ২ ভাগে ভাগ করে অর্ধেক জমিতে সার দিতে হবে। বাকি অর্ধেক জমির ঘাস গবাদি পশুকে খাওয়াতে হবে। যেই অর্ধেক জমিতে সার দিবেন সেই জমির ঘাস, সার প্রয়োগ করার এক সপ্তাহ অথবা ১০ দিনের মধ্যে খাওয়ানো যাবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন