পোস্টগুলি

জারা ঘাসের রোগ ব্যাধি

ছবি
  জারা ঘাসের রোগ ব্যাধি: ঘাসের সাধারণত কোন রোগ হয়না বললেই চলে। তবে ঘাস নতুন লাগানোর পর এবং প্রতিবার কাটার পর মাঝে মাঝে ছত্রাকের কারণে পাতা পচে যাওয়া বা পুড়ে যাওয়া রোগ দেখা দিতে পারে। এমনটা হলে ( কার্বেন্ডাজিম ) গ্রুপের যেকোনো ভালো কোম্পানির ওষুধ কিনে গোড়ায় এবং পাতায় স্প্রে করে দিতে হবে। (জমি অবশ্যই আগাছা মুক্ত রাখতে হবে) এবং প্রতিবার ঘাস কাটার পর মোথায় ছাই ছিটিয়ে দিলে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত থাকবে। (ইনশাআল্লাহ) যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন: মো: আশিকুর রহমান সম্রাট পরিচালক: (শেখ এগ্রো ফার্ম ) মুজিব নগর, মেহেরপুর 01732-777989 ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেল এর নাম: (শেখ এগ্রো ফার্ম)

জারা ঘাস কাটার নিয়ম

ছবি
  জারা ঘাস কাটার নিয়ম: জারা ঘাস প্রতি ২৫-৩০ দিন পর পর কাটার উপযোগী হয়। ৪-৬ ফুট লম্বা ঘাস গবাদি পশুর খাওয়ার জন্য সবচয়ে ভাল। ঘাস সব সময় মাটি বরাবর, বা মাটি লেবেল করে কাটতে হবে। ১ ইঞ্চি বা ২ ইঞ্চি উপর থেকে কাটা যাবে না। মাটির সাথে মিশিয়ে কাটতে । ১ম বার ঘাস কাটার পর দুই পাশ থেকে মাটি টেনে গোড়ায় বেঁধে দিতে হবে বা উঁচু করে দিতে হবে। এবং প্রতিবার ঘাস কাটার পর শুকনো ছাঁই ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে করে ঘাস ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকবে।

জারা ঘাসের সার ব্যবস্থাপনা

ছবি
  জারা ঘাসের সার ব্যবস্থাপনা:  আসুন জেনে নিই, ভাল ফলন পেতে ঘাসের সার ব্যবস্থাপনা:  যেকোনো কৃষিকাজে জৈব সারের বিকল্প নেই।  প্রতি ৬ মাস অথবা ১ বছর পর পর জমিতে শুকনো গোবর সার অথবা ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) প্রয়োগ করতে হবে। (কাঁচা গোবর দেওয়া যাবে না।) আশানুরূপ ফলন পেতে হলে, নিম্নে বর্ণিত তালিকা অনুযায়ী সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। অতিরিক্ত রোদ্রের সময় অর্থাৎ, গ্রীষ্মকালে প্রতি ১০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। বৃষ্টি হলে সেচ এর পরিমাণ কমানো যেতে পারে। এবং প্রতিবার সেচ দেওয়ার পূর্বে নিম্নে বর্ণিত রাসায়নিক সার গুলো সম পরিমাণে একসাথে মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি ১০ শতাংশ জমির জন্য রাসায়নিক সারের তালিকা:  ১. ইউরিয়া= ৫ কেজি ২. ডি, এ, পি,/ টি, এস, পি, (ফসফেট)= ৫ কেজি ৩. এম, ও, পি, (পটাশ)= ৩ কেজি ৪. সালফার= ২ কেজি এর পাশাপাশি সরিষার খৈল গুড়া করে স্যারের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিঃদ্রঃ সার কখনো ঘাসের গোড়ায় দেওয়া যাবে না, গোড়া থেকে একটু দূরে চারিদিকে বৃত্তাকার করে ছিটিয়ে দিতে হবে। অথবা, সারা জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। সকালে সার দে...

জারা ঘাস লাগানোর নিয়ম

ছবি
  জারা ঘাস লাগানোর নিয়ম: জারা ঘাস লাগানোর পূর্বে জমি ভাল করে  প্রস্তুত করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে শুকনো অথবা পঁচা গোবর জমিতে মিশিয়ে উত্তমরূপে চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে।  হবে। শুকনো জমিতে ঘাসের কাটিং লাগাতে হবে। কাটিং লাগানোর নিয়ম: ঘাস লাগানোর জন্য ভাল মানের পরিপক্ক কাটিং সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি স্থানে ২ টি করে কাটিং একসাথে ২ ইঞ্চি গ্যাপ রেখে পাশাপাশি  লাগাতে হবে। কাটিং এর গিট বা চোখ মাটির ১ ইঞ্চি নিচে পুঁতে দিতে হবে। যদি চারা গজিয়ে যায়, তাহলে যত্ন সহকারে কুশি সহ কাটিং একই নিয়মে লাগাতে হবে। সব গুলো কাটিং ৩০ ডিগ্রি এঙ্গেল করে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে কাটিং থেকে কাটিং এর দূরত্ব হবে ২ ফুট, এবং একটা লাইন থেকে আরেকটা লাইনের দূরত্ব হবে ২ ফুট। এক্ষেত্রে পরিমাপের জন্য ২ ফুট অথবা ২ হাত পরিমাপের একটি কাঠি ও লাইন সোজা করার জন্য সুতা অথবা দড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। কাটিং লাগানো শেষ হলে জমিতে ঐ দিন অথবা পরের দিন সেচ বা পানি দিতে হবে। হালকা সেচ অথবা ভাসিয়ে দেয়া যেতে পারে। তবে বেশি পানি জমে থাকলে ক্ষতি হতে পারে।  কাটিং লাগানোর ৩/৪ দিনের মধ্যেই মাটির উপর চারা দেখা যাবে...

জারা ঘাসের বৈশিষ্ট:

ছবি
  জারা ঘাসের বৈশিষ্ট: বৈশিষ্ট্য সমূহঃ ১. উচ্চ ফলনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস। ২. ১ মাস পর পর কাটা যায় ৩. ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, এবং ১ মাস বয়সে এই ঘাস ৪-৫ ফুট লম্বা হয় ৪. এই ঘাস অনেক মোটা এবং নরম হয় ৫. গ্রীষ্ম, বর্ষা শীত সব ঋতুতেই ভাল  ফলন পাওয়া যায়। ৬. যেকোন সময় এই ঘাস লাগানো যায়। ৭. সকল গবাদি পশুতে খায় ৮. প্রোটিনের পরিমাণ ১৬-১৮% ৮. শুকনো জমিতে চাষ করতে হয় ৯. তেমন কোন বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না ১০. প্রথম লাগানোর ১ মাস পর কাটার উপযোগী হয় ১১. যতবার কাটা যাবে তত বেশী বংশ বিস্তার করবে ১২. একবার লাগালে ৬-৭ বছর ফলন পাওয়া যাবে।

জারা ঘাসের পরিচিতি

ছবি
জারা ঘাসের পরিচিতি: " জারা " একটি উচ্চ ফলনশীল এবং দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস। এটি চীনের একটি ঘাস। এটি মূলত পাহাড়ি ঘাস। গবাদি পশুর জন্য  উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি উন্নত মানের ঘাস। ডা. জহিরুল ইসলাম এই ঘাসটি বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বর্তমানে এই ঘাসটি সারা দেশের খামারিদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।